ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪

নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়াটাই বড় বিষয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:২৮, ১১ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ২৩:২৯, ১১ নভেম্বর ২০১৮

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহামদ নাসিম। 

তিনি বলেন, নির্বাচন কার অধীনে হচ্ছে সেটি বড় বিষয় নয়। নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়াটাই বড় বিষয়। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ জন্য তাদেরকে সাধুবাদ জানাই।   

রোববার মহাখালীস্থ বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট অব থ্যালাসেমিয়া’ শীর্ষক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, একটি দেশের সর্বোচ্চ উন্নয়ন হয় গণতান্ত্রিকভাবে। আর গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখতে নির্বাচন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। তাই তাদের নির্বাচনের মাঠে অভিনন্দন জানাই। দেশে বর্তমানে অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আনন্দদায়ক পরিবেশে জাতীয় যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নির্বাচনে জনগণ যে রায় দেবে উভয়পক্ষকে সেটি মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

এসময় গণতন্ত্রের চর্চার উদাহরণ দিতে গিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে সম্পন্ন হওয়া মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীণ রিপাবলিকানদের পরাজয়ের বিষয়টি উল্লেখ করে পরাক্রমশালী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল এই নির্বাচনে হেরে গেছে। এটিই হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

থ্যালাসেমিয়া রোগটি একটি বেদনাদায়ক রোগ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, থ্যালাসেমিয়ার কারণে একটি শিশু জন্মগ্রহণের পর মৃত্যুর শঙ্কা নিয়ে বেঁচে থাকে। এর চেয়ে বেদনাদায়ক আর কি হতে পারে। তিনি বলেন, উচ্চ আদালত থেকে যত নির্দেশনাই আসুক না কেন আমরা যদি সচেতন না হই তাহলে দেশকে থালাসেমিয়া মুক্ত করা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

আগামী ডিসেম্বরে সারাদেশে সাত হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আমরা যে ৭ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলাম, ডিসেম্বরের মধ্যেই সেটা সম্পন্ন হবে। পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত এই চিকিৎসকদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পদায়ন করা হবে। এছাড়া ইতিমধ্যে ৫ হাজার নার্স নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের বিবরণ দিতে গিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, এই পাঁচ বছর ক্ষমতাকালে আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে। সম্প্রতি প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার স্থাপনা নির্মিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ডা. আব্দুর রহিম, সাবেক সচিব আক্তার-ই-মমতাজ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টার (এনসিডিসি) ডা. নূর মোহাম্মদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রতিবছর আরও নতুন করে ৭ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এই সমস্যা দূর করতে হলে দেশের মানুষের জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

এসি  
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি